মে ২২, ২০২৫

ছুটি শেষে চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

0
Untitled-3

ডেস্ক রিপোর্ট:
ঈদের টানা নয় দিনের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন রাজধানীবাসী। এরই মধ্যে খুলেছে অফিস-আদালত। ফলে একদিকে যেমন শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা, অন্যদিকে নগরীও ফিরেছে তার চিরচেনা রূপে। রাজধানীর সড়কে বেড়েছে কর্মচঞ্চল মানুষের পদচারণা, ফলে বেড়েছে যানজট। দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে রাজধানীর সড়কগুলো ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা দৃশ্য। খবর: জাগো নিউজ।

রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটরসহ বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে ও গুগল ম্যপের সহযোগিতায় যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি চলাকালীন রাস্তায় গণপরিবহনের উপস্থিতি কম থাকলেও আজ প্রথম কর্মদিবসেই রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। তবে সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি সীমিত থাকায় অফিসগামী মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। সে সময় যানজটের দেখা না মিললেও বেলা বাড়তেই শুরু হয় যানজট।

দেখা গেছে, কর্মব্যস্ত মনুষ সকাল থেকেই এসে ভিড় করতে শুরু করেন বাসস্ট্যান্ডগুলোতে। কেউ কেউ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকছেন কেউবা আবার সুযোগ পেলে উঠে পড়ছেন। সব বাসেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাসে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি ছিল বেশ ভালোই। এছাড়া সিগন্যালগুলোতে ট্রাফিকের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চিত্রও দেখা গেছে।

এদিকে অফিস-আদালত শুরু হওয়ায় দীর্ঘ ছুটি শেষে যানবাহনে যাত্রীর পূর্ণতায় খুশিভাব প্রকাশ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। মৌমিতা পরিবহনের চালকের সহকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এতদিন ছুটির পর আজ অফিস শুরু হয়েছে। আমরাও যাত্রী মোটামুটি ভালোই পাচ্ছি। এই ছুটির মধ্যে একদিনও গাড়ির সব সিটে যাত্রী পাইনি। খালি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয়েছে। আর এখন দেখেন গেটেও জায়গা দিতে পারছি না।

রইছ পরিবহনের চালকের সহকারী তুহিন বলেন, ছুটির দিনে রাস্তায় কোথাও যাত্রী ছিল না। গাড়ি নিয়ে শেষ স্টপেজ পর্যন্ত চলে গেছি কিন্তু গাড়ির সব সিটের মানুষ পাইনি। আর আজ এক স্টপেজ থেকেই গাড়ি ফুল হয়ে গেছে। যাত্রী নেওয়ার জায়গা নেই। গেটে পর্যন্ত মানুষ ঝুলছে। গাড়িতে ওঠার জায়গা নেই, নিষেধ করছি কিন্তু তবুও গেটে ঝুলছে।

এদিকে সকালের শুরুতে সড়কে গাড়ির উপস্থিত কম থাকায় যাত্রী রোমান বলেন, এতদিন ছুটি কাটিয়ে আজ প্রথম অফিস। রাস্তায় গাড়ি খুব কম। দুই-একটা যা গাড়ি আসছে সেগুলোর গেটে ঝুলেও যাওয়ার অবস্থা নেই। এখন সিএনজি বা বাইক নিয়ে চলে যেতে হবে, কিছু করার নেই। প্রথম অফিস দেরি করা যাবে না।

অন্য এক যাত্রী মো. জহির বলেন, অন্তত ৩০ মিনিট গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি, কোনো গাড়ি নেই। যেগুলো আসছে সেগুলোতে ওঠার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমার অফিস মহাখালী। হেঁটে যাওয়াও সম্ভব না। আবার বাইক বা সিএনজি তারাও গাড়ি কম থাকায় সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *